DEHLIJ

ফরিদ ছিফাতুল্লাহ

টেলিভিশন



 



ঝিরঝিরগুলি এখনো আবছা
অসংখ্য করছে বিদ্যুতের তার।
আলাপনে ব্যস্ত তবে ও সবে।

বিভিন্ন নাটিকা ফেটে পড়ছে
             চৌ চৌ আট দিকে।
বাকি আছে দুই দিক।
শব্দ ক্রমশ একত্রিশে ডিসেম্বরে
রাস্তার বিস্তারে সঙ্গীত।
ইশারায় থামিয়া গিয়াছে ইঙ্গিত।

ফুটবল ধেয়ে আসছে মুখ বরাবর।
ট্রেন ও প্লেনও।
তারটা ঝুলছে লেজ।

লম্বাও খাটো নয় লম্বা।
কথারা ছোটে উদ্দেশ্য অভিমুখে।

বহুদূর পথ আকাশ খোলা।



এয়ারপোর্ট



যত মানুষ ওড়ে ওড়ে জমিনে।
উড়িবার বড় বঙ্গ।
রাডারে সাদা ছিটছিট কথা।
হেডফোন উচ্চারণ তরঙ্গ।

ইঞ্জিন গঞ্জনা খেতে লোবা লোবা।
দুই পায়ে চাকায় এবং বাঁকায়।
খোঁড়া ও অন্ধ, অন্ধ ও বোবা বোবা।
যেদিন সেদিন ততদিন সমাবেশ।

এভাবেরাও সেভাবে উড্ডীন।
পাগুলি পাখার নিকটাত্মীয়।
মুদ্রার কত শত বিনিময়।
       ভয় হয় নয় ছয়। ছয় নয় ছিয়ানব্বই।

ধাতব পাখিদের আশ্রয়।
পোত আরামে দাঁড়াবে ও ঘুমায়।
তবু ও কিন্তুরা শুধু সহায়।

বিশ্বায়নের ধাক্কায় গমগমে পোতাশ্রয়।

 

শীত রতি



শীত খুব ছয় জোড়া পাঁজর
         দনা
               বে
                 দনা
চনা চনা বাসর।
অসংখ্য বক্ষে চরে চরে
                     চরাচর।
নিধুয়া প্রান্তর।

ধুলো ওড়ে স্মৃতির আবছা ঘন
ধুলোর মেঘ সরিয়ে সেই রমণ মুখ।
দোলে দুলুক ঝোলে ঝুলুক।
চরের দরজা খোলে খুলুক।

শাড়ির আঁচলের উন্মাদ ঘ্রাণ
প্রাণ ভরে স্বাদন শরীরের ওপর
                           শরীরের নর্তন।
হস্তে হস্তে মুঠোমুঠি
আঁখি বোজা গভীর শ্লেষ।

ধুলোর স্মৃতি স্মৃতি-ধুলোর কেতন
বিরতি বিরতি রতি
            সতী সতী কন্যার
সতীত্ব হরণ গরবীয় আত্নহনন।

No comments

FACEBOOK COMMENT