উমাপদ কর
চতুর দশপদী
৩৭
গানের শেষটা গাইলে না কেন বন্ধু!
প্রদীপের তেল ছিল, শিখা মোটা লম্বা,
তবু গাইলে না। নাকি, গাইলে সবটা,
আলো শুষে নিল, মিশে গেল তরঙ্গরা!
কিছুটা আঁধার কি ওখানে বেড়ে গেল!
নাকি আরো উজ্জ্বলতা পেল নাকছাবি!
ভাবনার নড়বড়ে চারপায়া চুপ।
রাতের পোশাক শুয়ে ঘুম তার নীচে।
গন্ধতেল শিশি থেকে গড়িয়ে পড়ছে।
যখনতখন আগুন ছড়াতে পারে।
৩৮
নদীর সুরত দেখি না অনেকদিন।
তার কথা-গান-জল মনে উঁকি।
এই মনে-পড়াটাকে স্মৃতি নামে ডাকি।
প্রবেশের দরজায় জল, তরঙ্গ বাজায়।
আমাকে আমিই ঠেলে দিই অঙ্গগুলি।
কিছু তার স্নান সারে, কিছু বসে ভাবে।
ফিরতে চায় না, সখ্যতায় মজে খুলি।
নদীও বোঝে না, শিলা শুধু আমি ছাড়া।
অঙ্গহীন প্রতীক্ষায় থেকে থেকে আমি
নদীজীবন ভুলতে থাকি। মরুভূমি।
৩৯
একগোছা ভালোবাসা আমার ছিলই।
ঢেউ দিতে দিতে কুটনো কাটত বেড়ে।
ঘরের বাইরে একপায়ে দাঁড়ানোর
মধ্যে বিছানার চাদর পালটে দিত।
সুতোগুলো থেকে গুটিমথ উড়ে যায়।
এ-ডালে সে-ডালে বসে মরণপিয়ারি।
একহাতা ভালোবাসা আমার থাকেই।
ডালের তরল নিয়ে গবেষণা করে।
দুপুরের পাতে পাতে একপ্রস্থ হেঁটে
সন্ধ্যায় নূপুর হয়ে বহুদূরে বাজে।
Post a Comment