DEHLIJ

প্রিয়দর্শী দত্ত

 ক্লিওপেট্রার ক্যালেন্ডার





কামরার মধ্যে যেন একটা ভেল্কি খেলে গেল| তার অভিঘাতে দু পা পিছিয়ে আসতে হল বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া নায়ক জুলিয়াস সিজার-কে| আগুন্তুকটি সিজারের মিশর আগমনের উপলক্ষ্যে ঘাড়ে করে একটি বহুমূল্য গালিচা নিয়ে এসেছিল| সম্মানসূচক উপহারটি পাঠিয়েছেন মিশরের রানী সপ্তম ক্লিওপেট্রা, যিনি সে সময় সিংহাসনের জন্য ভাইয়ের সঙ্গে গৃহযুদ্ধে ব্যপৃত| মিশরের জনমত বিরূপ দেখে ক্লিওপেট্রাকে দেশ ছেড়ে সিরিয়া পালাতে হয়েছিল| কিন্তু মিশরের সমগ্র শাসন নিজের হাতে আনতে ব্যগ্র| ঘটনাচক্রে সুপ্রাচীন মিশর এখন রোমের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে|

নিজের চার হাজার সৈন্য নিয়ে সিজার আলেক্সান্ড্রিয়ার রাজ প্রাসাদে রয়েছেন| পূর্ববর্তী শাসক দ্বাদশ টলেমি ‘অলেটাস’ কে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন| তাঁকে বড় রকম আর্থিক সাহায্য ও করেছিলেন সিজার| সেই দেনা না মিটিয়েই ‘অলেটাস’ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন| কিন্তু সিজার কে যুযুধান মিশরে অভিভাবকের ভূমিকা নিতে হবে সেটাই স্বাভাবিক| তিনি ‘অলেটাসের পুত্র-কন্যা অর্থাৎ ক্লিওপেট্রা এবং তার ভাই ও যুগ্মশাসক ত্রয়োদশ টলেমি কে আলেক্সান্ড্রিয়া তে তলব করে পাঠালেন| সমস্যাটার একটা নিরসন তো করতেই হবে| কিন্তু এ ভাবে একজনের সঙ্গে দেখা হবে সিজার ভাবতে পারেন নি|

আগুন্তুকটি রোল করে মোড়া গালিচা টা খুলে মেলতে যাচ্ছে| তখনি যেন মেঝের উপর আগুনের ঝলকানি খেলে গেল| পাক খেয়ে বেরিয়ে এলো একটি বছর একুশ বাইশের যুবতী| যদিও ও খর্বখায় এবং খুব সুন্দরী না হলেও তার দৈহিক লাবন্য দৃষ্টি কাড়ার মত| সে পরিচয় দিল –‘আমি ক্লিওপেট্রা’| তার আবেদনের তুনিরে মোক্ষম শরটি যেন তার কন্ঠস্বর| পঞ্চাশ পেরুনো সিজার বিমোহিত না হয়ে পারলেন না| তাকে মোহিত করতেই তো ক্লিওপেট্রার এই দুঃসাহসিক অভিসার| মিশরীয় উর্বশীর হাতের ইশারার ততক্ষনে হাপিজ হয়ে গেছে তার ভৃত্যটি| সব নিস্তব্ধ| শুধু দুরে আলেক্সান্ড্রিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরের গর্জন শোনা যাচ্ছে|কক্ষের ভেতরে জ্বলা জলপাই তেলের মশাল গুলো ও নিভে এলো|

 



কথায় বলে টকের জ্বালায়ে পালিয়ে এলাম, তেঁতুল তলায় বাস| একটি গৃহযুদ্ধের সুত্র ধরে মিশরে এসে সিজার কেআর একটি ভয়ংকর গৃহযুদ্ধের মধ্যে জড়িয়ে পড়তে হলো| সেটা ৪৯ খ্রীস্টপূর্ব|সিজার যুদ্ধের মাধ্যমে রোমকে সাধারণতন্ত্র থেকে সাম্রাজ্য তে পরিনত করে তুলছেন| বর্তমান জার্মানি পার করে ব্রিটেন অবধি তার তরবারির প্রসারিত হয়েছে| ওদিকে রোমের সেনেট্ (আইন সভা) তার উপর অপ্রসন্ন হয়ে বলছে অস্ত্র নিবারণ কর| সভার সামনে এসে জবাবদিহি কর| সেনেটের মুকুটমণি কনসুল গ্নিয়াস পম্পেই (যিনি আবার মাগনস অর্থাৎ মহান উপাধি পেয়েছেন)এখন সিজারের চক্ষুশুল| এককালে বন্ধু ছিলেন, ও সিজার নিজের মেয়ে জুলিয়ার বিয়েও দিয়েছিলেন তার সাথে| কিন্তু সে মেয়েও বেঁচে নেই, বন্ধুত্ব ও শেষ নিশ্বাস ফেলছে|

রুবিকন নদী পার করে রোমের মূল সীমানার মধ্যে হুডমুড্ করে ঢুকে পড়লেন সিজার| কিন্তু তার সব সৈন্য সামন্ত নিয়ে, তরবারি উঁচিয়ে, সেনেট কে অগ্রাহ্য করে|আর তার মানেই বেধে গেল গৃহযুদ্ধ| তার সামনে রোমের সেনা যেন ‘পলাইল রঘু সৈন্য, পলায় যেমতি/মদকল কবিরাজে হেরি, উর্ধ্বশ্বাসে বনবাসী’| সেনেটের একাংশ তার মুকুটমনি গ্নিয়াস পম্পেইর নেতৃত্বে দক্ষিণ ইতালি তে সৈন্য সামন্ত নিয়ে ঘাঁটি গাড়লো| কিন্তু সিজারের অগ্রগতিতে ভয় পেয়ে তারা গ্রীসের দিকে পালাল| এপ্রিলের শুরুতে যখন সিজার রোম নগরীতে পৌঁছে সেনেটের মুখ-মুখী হলেন তখন খেলা বদলে গেছে| গৃহ যুদ্ধ চলল, গ্নিয়াস পম্পেইর প্রতি অনুগত সৈন্য দের পরাজয় অব্যাহত রইলো, আর সিজারের সর্বত্র জয়| বছর ঘুরতেই সিজার আবার কনসুল | যুদ্ধ তবুও চলল, এবং শেষ অবধি ৪৮ খ্রীস্টপূর্বের আগস্টে গ্রীসে সিজারের কাছে হেরে গ্নিয়াস পম্পেই ভুমধ্য সাগর পার করে পালালেন মিশরে|মিশরের রানী ক্লিওপেট্রা এই গৃহ যুদ্ধে তাকে এক সময় সাহায্য পাঠিয়েছিলেন| কিন্তু হায়, কে জানত মহাকালের মিশরে তার কাল পম্পেইর প্রতিক্ষা করছিল|

ইতিমধ্যে সিজার রোমের একনায়ক বা ডিকটেটার ঘোষিত হয়েছেন| শত্রুর শেষ রাখতে নেই ভেবে সিজার যখন মিশরে পৌঁছুলেন তখন পম্পেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে| জানতে পারলেন মিশরের রাজার অনুগত চররা দিন কয়েক আগেই গ্নিয়াস পম্পেই কে হত্যা করেছে| পম্পেইর কাটা মাথা তারা সিজার কে এই ভেবে উপহার দিল যে তিনি খুশি হবেন| কিন্তু সেই সংরক্ষিত ছিন্ন মুন্ডু দেখে সিজার ধপ করে বসে পড়লেন এবং অঝোরে কাঁদতে লাগলেন| একজন মহান রোমান জেনারেল কে ছল করে হত্যা করা হয়েছে জেনে সিজার মুষড়ে পড়লেন|  

কিন্তু আবার চাঙ্গা হতে হল| মিশরের বাতাসে তখন রক্তের গন্ধ| সেখানেও চলছে গৃহযুদ্ধ| একদিকে ক্লিওপেট্রা অন্য দিকে তার যুগ্মশাসক ত্রয়োদশ টলেমি যিনি সম্পর্কে তার ছোট ভাই ও তার স্বামীও| হ্যা, এই রকমেই অদ্ভূত নিয়ম ছিল মিশরের টলেমি রাজবংশে, সহোদর ভাই বনে বিয়ে হত, যাতে উত্তরাধিকার পরিবারের বাইরে না যায়, ক্ষত্রিয়ের শ্রেষ্টত্ব কায়েম থাকে|টলেমিরা মূলত: গ্রীক, এর প্রতিষ্ঠাতা যাকে সটের (বা উদ্ধারকারী) বলা হয়, আলেক্সান্দারের তিন জেনারেল সেলুকাস, অন্তিগনাস ও টলেমির অন্যতম ছিলেন| আলেক্সান্দারের সাম্রাজ্যের এক ভাগ মিশর তিনি পান| তাদের রাজধানী মিশরের বিখ্য বন্দরনগরী আলেক্সান্ড্রিয়া| সেই প্রায় তিনশ  বছর ধরে চলে আসছিল টলেমি বংশ, যখন সিজার সেখানে পৌঁছুলেন|



দ্বাদশ টলেমি ‘অটেলাস’ কে ধার দেওয়া টাকাটা সিজার ত্রয়োদশ টলেমির কাছে ফেরৎ চাইবেন কি চাইবেন না ভাবতে-ভাবতে শেষমেষ চেয়েই বসলেন| রোমের থেকে দুরে সৈন্য বাহিনীর ভার ও তো আপাতত: তাকেই বহন করতে হবে|টাকার অঙ্কটা রীতিমত ভারী- এক কোটি দিনারী| ত্রয়োদশ টলেমির পরামর্শদাতা পন্থীউস অনেক চেষ্টা করলেন যে টাকাটা যেন ফেরৎ না দিতে হয়| কিন্তু সিজার একবার কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে, আর নিজের কথাও শোনেনা| শেষ উপায় হিসেবে পন্থীউস মিশর জুড়ে ‘রোমান হস্তক্ষেপ’ এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বাতাবরণ সৃষ্টি করতে ব্যপৃত হলেন| ত্রয়োদশ টলেমির সৈন্যদের ক্ষেপিয়ে তুলতেন অনাহুত রবাহুত সিজারের বিরুদ্ধে| বললেন ত্রয়োদশ টলেমি আসলে সিজারের বন্দী, নিজেদের রাজাকে উদ্ধার করুন| দেখতে দেখতে ২০,০০০ মিশরীয় সৈন্য সিজারের চার হাজার সৈন্য কে ঘিরে ফেলল| রোমের থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দুরে রোমের মহানায়ক আলেক্সান্ড্রিয়াতে বন্দী হয়ে পড়লেন| পন্থীউস এর মুন্ডছেদ করলেন বটে, কিন্তু তাতে লাভ হলনা| তুরুপের তাস ত্রয়োদশ টলেমি কে বন্দী করলেন, তাতেও ঘেরা উঠল না|শেষ অবধি ত্রয়োদশ টলেমি কে ছেড়ে দিলেন যাতে সে নিজের সৈন্যদের বুঝিয়ে ঘেরা তুলে নেই| হিতে বিপরীত হলো, সে বাইরে গিয়ে সৈন্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আরো তুমুল গোলবন্দী শুরু করল|

সিজারের প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত তখন বর্তমান তুর্কির থেকে বিদ্রোহী গ্রিক বাহিনী তার সাহায্যের জন্যে এগিয়ে এলো| রাজ বাহিনী ছুটল তার নায়ক মিথ্রিদাতিস কে শিক্ষা দেবার জন্য| এই সুযোগে সিজার ও তার বাহিনী নিয়ে কুচকাওয়াজ করে মিথ্রিদাতিসের সাথে যোগ দিলেন| সম্মুখ সামারে ত্রয়োদশ টলেমির বাহিনীর ভরাডুবি হলো| কিন্তু এর মধ্যে কেটে গেছে ছয় মাস| ওদিকে রোমে সিজারের বিরোধীরা আবার মাথা তুলেছে| এক সময় মনে হচ্ছিল সিজারের দিন শেষ| সিজারের শত্রুরাই শেষ হাসি হেসেছিলেন, কিন্তু তা আরো কিছু বছর পর|

রোমে সিজারের উপস্থিতি ভীষণ ভাবে কাম্য ছিল| সিজার এবার বুঝি কড়াই থেকে উনুনের আগুনে পড়েন| কিন্তু তার মনে অন্য আগুন, অন্য ফাগুন লেগেছে| এ ছাড়া প্রায় দীর্ঘ ১২ বছর যুদ্ধ করে সিজার ক্লান্ত| তিনি একটু বিশ্রাম চান| সিজার ক্লিওপেট্রার সাথে এক মাস লম্বা নীল নদের সফরে বেরিয়ে গেলেন|সুসজ্জিত একটি বাজরাতে নীল নদে উজান বেয়ে তারা চললেন দক্ষিণ দিকে|বাজরা থেকে নেমে দেখলেন প্রাচীন ফারাওদের তৈরী গিজার পিরামিড ও স্ফিন্ক্ষ| আরো দক্ষিনে লাক্সর ও আবু সিম্বলের মন্দির| নীলের পূর্ব তীরে মন্দির পশ্চিম পারে সমাধিগুলি পিরামিড, রাজাদের উপতক্যা, রানীদের উপতক্যা ইত্যাদি| এই নৌকাবিহারের কোনো সঠিক বর্ণনা নেই| কি কথা হয়েছিল সিজার ও ক্লিওপেট্রার মধ্যে? এই কি সিজার ক্লিওপেট্রার মত কোনো মোহিনী কে আগে দেখেননি? এই কি ক্লিওপেট্রা সিজারের সন্তানের মা হতে চলেছেন?

কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চই আলোচনা হয়েছিল দুজনার মধ্যে| রোমের ক্যালেন্ডারের কথা| রোমের ক্যালেন্ডারটি বিচিত্র| এটি চন্দ্র বর্ষের উপর প্রতিষ্ঠিত, অর্থাৎ ৩৫৫ দিনের| কিন্তু ঋতুচক্রের সাথে তাল রাখতে গেলে তাতে কয়েক বছর অন্তর কয়েক দিন যোগ দিতে হত| একটি চার বছরের চক্র তৈরী করা হয়েছিল| প্রথম বছরে ৩৫৫ দিন , দ্বিতীয় বছরে ৩৭৭ দিন, তৃতীয় বছরে আগার ৩৫৫ দিন, ও চতুর্থ বছরে ৩৭৮ দিন| বাড়তি দিন গুলো যোগ দেওয়া হত বছরের বা মাসের শেষে নয়| ফেব্রুয়ারীর ২৩ তারিখের পড়ে একটা স্বতন্ত্র সিরিজ হিসেবে| কিন্তু অনেক সময়ই যোগ দেওয়া হত না, বা সঠিক ভাবে হত না| রোমে প্রত্যেক মাসেই থাকত কোন না কোন দেবতার উত্সব, ব্রত পালন, বলি, পূজা ইত্যাদি| কিন্তু ক্যালেন্ডার যদি ঋতু চক্রের সাথে তাল হারায় তাহলে ঠিক উত্সব ঠিক সময় আসবে না| যদি ঘড়ি বিলম্বিত হয়ে এক জন মানুষ সকালের চা’টা জল খাবারের সময়, জল খাবার মধ্যান্হ ভোজের একটু আগে, মধ্যান্হ ভোজ বিকেলের চায়ের সময় পান তা হলে তার মেজাজ খিচড়ে যাবে| দেবতাদের ও নিশ্চই একই অবস্থা হচ্ছিল|

রোমের ধর্মসংক্রান্ত কাজের ভার ন্যস্ত ছিল পনের জনের একটি বোর্ড এর উপর যার ল্যাটিন নাম কলিজিয়াম পন্টিফিকাম| এর সদস্য হওয়া সম্মানের বিষয় যা বহু রাজনৈতিকদের ভাগ্যে জুটত না| ভাগ্যক্রমে তিরিশ পেরুবার আগেই সিজার এর সদস্য হন, এবং কালক্রমে এর প্রধান- পন্টিফেক্স ম্যাক্সিমাস|

তিনি ক্লিওপেট্রার কাছ থেকে মিশরের ক্যালেন্ডারের যে বর্ণনা শুনলেন তা মনে ধরল| মিশরে ৩৬৫ দিনের সৌর ক্যালেন্ডার প্রচলিত আছে বহু কাল থেকে| আকাশের সব থেকে উজ্জল তারকা সাইরাস এর প্রথম উদয় দেখে প্রাচীন মিশরের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বার করেছিলেন যে প্রাকৃতিক বছর ৩৬৫১/৪ দিনের হয়| কিন্তু অদ্ভূত কারণে তারা বছরের দীর্ঘতা ৩৬৫ দিন ই রাখে, যাতে খুব ধীরে হলেও ক্যালেন্ডার ঋতুচক্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়- ১৪৬০ বছরে, এক বছর পিছিয়ে যায়| নীল নদের বান ঠিক সময় আসে না| ক্লিওপেট্রার এক পূর্বপুরুষ তৃতীয় টলেমি ইউরেগেতেস দুশো বছর আগে সেই ক্যালেন্ডার সংস্কার করেন| তার উল্লেখ কানোপাস শিলালিপি তে পাওয়া যায়| এই কাজে আলেক্সান্ড্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিক জ্যোতির্বিদরা তাকে পথ বাতলে দিয়ে ছিল|

সিজার মুখ সূর্যের আলোতে উজ্জ্বল| এ বার তিনি পথ পেয়েছেন| আলেক্সান্দার একটি জট খোলার সহজ উপায় বাতলে ছিলেন, জট তাকে তলোয়ার দিয়ে কেটে দাও| রোমের ক্যালেন্ডারের জট খোলার উপায় সেদিন সিজার পেলেন| চন্দ্র বত্সর নয়, ৩৬৫ দিনের সৌর বত্সর, প্রত্যেক চার বছর অন্তর নিজে থেকেই একটা দিন যোগ হবে| ক্যালেন্ডার এবার ঋতু চক্রের সাথে তাল রেখে চলবে| একাধারে পন্টিফেক্স ম্যাক্সিমাস ও ডিকটেটর- ধর্ম ও রাজনীতির ক্ষমতা দিয়ে তিনি শুরু করবেন নতুন ক্যালেন্ডার যদিও মাসের নাম বদলাবেন না| ৪৯ খ্রীস্টপূর্ব তে শুরু হলো নতুন ক্যালেন্ডার – জুলিয়ান ক্যালেন্ডার| আমাদের কিছুটা কৃতজ্ঞতা স্বীকার ক্লিওপেট্রার প্রতি ও করতে হবে| জুলিয়াস সিজার ও  ক্লিওপেট্রার মিলানে কেবল এক শিশু পুত্র কাসিরীয়নের ই জন্ম হয়নি জন্ম হয়েছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ও| আগত বছরে যখন ক্যালেন্ডারটা এনে মেলে ধরবেন, হয়ত বা অনুভব করতে পারবেন ক্লিওপেট্রার অদৃশ্য আত্মা তার থেকে বেরিয়ে আসছে|

*******

1 comment:

FACEBOOK COMMENT